মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২৩ অপরাহ্ন

২০ বছর আগে সুপার মার্কেট নির্মাণ করলেও বর্জ্র নিস্কাশন ব্যবস্থা করেনি মার্কেটে কতৃপক্ষ। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে সাত দিনের সময় দিয়ে নোটিশ প্রদান করেছেন উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর

২০ বছর আগে সুপার মার্কেট নির্মাণ করলেও বর্জ্র নিস্কাশন ব্যবস্থা করেনি মার্কেটে কতৃপক্ষ। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে সাত দিনের সময় দিয়ে নোটিশ প্রদান করেছেন উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর

আগৈলঝাড়া প্রতিনিধিঃ

দীর্ঘ ২০বছর পরে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী ভেগাই হালদার পাবলিক একাডেমীর মালিকানাধীন ঘাটলা বাঁধানো পুকুরটি জনগনের ব্যবহারের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা পরিষদ। পুকুর পারের সুপার মার্কেটের ব্যবসায়িদের খোলা পায়খানার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিস্কাশন করতে সাত দিনের সময় দিয়ে মার্কেটের ব্যবসায়িদের নোটিশ প্রদান করেছেন উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর সুকলাল সিকদার।

মঙ্গলবার দুপুরে স্যানিটিারী ইন্সপেক্টর সুকলাল সিকদার উপজেলা সুপার মার্কেটের মালিক ও ভাড়াটিয়া ব্যবসায়িদের এই নোটিশ প্রদান করেছেন।

নোটিশে তিনি উল্লেখ করেন- ভেগাই হালদার পাবলিক একাডেমীর মালিকানাধীন, জেলা পরিষদের ডাক বাংলোর সামনের পুকুরে আগৈলঝাড়া সুপার মার্কেটের ব্যবসায়িরা খোলা, ঝুলন্ত পায়খানা ব্যবহার করাসহ অন্যান্য ময়লা আবর্জনা ফেলে পুকুরের পানি ব্যবহারের অযোগ্য করে রেখেছেন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বার বার মৌখিক নির্দেশনা অমান্য করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিস্কাশনের উদ্যোগ না নেয়ায় স্বাস্থ্যবিধি আইনের ২৬৯ এবং ২৭০ ধারা মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধ করে আসছেন। নোটিশ প্রাপ্তির ৭দিনের মধ্যে ঝুলন্ত পায়খানা অপসারণ করে স্বাস্থসম্মত পরিবেশসহ পুকুরের পানি ব্যবহারের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করেন তিনি।

ব্যবসায়িসহ স্থানীয়রা জানান- অন্তত ৫০শতাকের এই পুকুরটিতে গত ২০বছর আগে প্রতিদিন অন্তত শতাধিক লোক গোসল করতেন, রান্নার জন্য পানি সংগহ করতেন আশপাশের লোকজন। পুকুরটির গুরুত্ব বিবেচনা করে পুকুরে সরকারী উদ্যোগে পাকা ঘাটলা নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ২০০১ সালে জোট সরকার ক্ষমতায় আসলে ভেগাই হালদার পাবলিক একাডেমীর সভাপতির দায়িত্ব নেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি কবির হোসেন তালুকদার। তিনি ম্যনেজিং কমিটির দায়িত্ব নিয়ে উপজেলার প্রধান সড়কের পাশে স্কুলের পুকুর পাড়ের জায়গা ও মাঠের দক্ষিন ও পশ্চিম সীমানার কয়েক কোটি টাকার জায়গা প্লট আকারে স্কুরের আয়ের নামে বিক্রি করেন। এমনকি স্কুল মাঠের পশ্চিম পাশে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সরিয়ে তার ভাই সেলিম তালুকদারকে দোকানের প্লট বরাদ্দ প্রদান করেন। কবির তালুকদার নিজের নামে. ভাই, বন্ধু ও তার দলের নেতা কর্মীদের নামে এই সকল প্লট বরাদ্দ প্রদান করেন। প্লট বরাদ্দ নিয়ে ব্যসায়িরা যে যার মতো করে দোকান তুলে ব্যবসা করে আসছেন।

বরাদ্দ প্রদানের পরে পুকুর পাড়ের প্লটগুলোর জন্য কবির তালুকদার নিজের তত্বাবধানে দ্বিতীয় তলা বিশিষ্ট উপজেলা সুপার মার্কেট নির্মাণ করেন। ওই মার্কেটে ২০টি প্লটের মালিকানাধীন ৪০জন ব্যবসায়ি ও একাধিক প্রতিষ্ঠান বর্তমানে ভাড়াটিয়া হিসেবে রয়েছেন। ২০ বছর আগে সুপার মার্কেট নির্মাণ করলেও পায়খানা বা বর্জ্র ব্যবস্থাপনা নিস্কাশন বা অপসারণে কোন ব্যবস্থা করা হয়নি মার্কেটে। যে যার মতো করে পুকুরের মধ্যে পাইপ ঝুলিয়ে পায়খানা ব্যবহার ও বর্জ্য নিস্কাশন করে আসছে। ফলে পুকুরটি ২০বছর যাবত মানুষের ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পরে।

পুকুর ব্যবহারের জন্য উপজেলা পরিষদের গ্রহন করা উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়িসহ সকল শ্রেণির লোকজন।
এব্যাপারে মার্কেট পরিচালনা পরিষদের সভাপতি দাবিদার জিএম কবির এর পক্ষে জীবন কৃষ্ণ হালদার নোটিশ গ্রহন করে জানান- বিষয়টি সমাধানের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান বলার পরেই তারা সেফটি ট্যাংকি নির্মাণ করেছেন। করোনায় দোকানপাট বন্ধ থাকায় বাথরুমের পাইপ কিনতে না পারায় পয়ঃনিস্কাশনের কাজ করতে পারেন নি। স্বল্প সময়ের মধ্যেই পয়ঃনিস্কাশণের ব্যবস্থা করে পুকুরে ময়লা আবর্জনা না ফেলার জন্য সকলকে নিয়ে একটি সভা করবেন বলেও জানান তিনি। ####

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com